ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সম্পর্কে কোনো মন্তব্যের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনার পাসপোর্ট ইতোমধ্যে বাতিল হয়েছে। এ অবস্থায় ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে মন্তব্যের প্রয়োজন নেই।”
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে মোদি সরকার।
এদিকে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিতে কূটনৈতিক নোট পাঠানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন ৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা। তিনি দিল্লির একটি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, “গুম ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২২টি পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার নামও রয়েছে।”
কূটনৈতিক নোটের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “দিল্লি থেকে এখনো কোনো উত্তর আসেনি। ঢাকা উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রয়োজনে তাগিদপত্র দেওয়া হবে।”
এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের আসন্ন চীন সফর নিয়েও আলোচনা হয়। মুখপাত্র জানান, “সফরটি দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে ভূমিকা রাখবে। আলোচ্যসূচিতে বাণিজ্য, অর্থনীতি ও রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
অন্যদিকে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে রফিকুল আলম বলেন, “সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। তবে মানবিক দিকও বিবেচনায় রাখতে হয়।”
এছাড়া, মোজাম্বিকে থাকা বাংলাদেশিদের সুরক্ষার বিষয়েও কাজ করছে বাংলাদেশ দূতাবাস বলে জানিয়েছেন তিনি।